দোহারে ঈদকে সামনে রেখে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাদ্যদ্রব্য

 

মাহবুবুর রহমান টিপু,দোহার(ঢাকা)প্রতিনিধি:
দোহারে ঈদকে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে অস্বাস্থ্যকর
পরিবেশে তৈরি করছে রুটি,কেক,বিস্কুট,সেমাই’র মতো নিত্য প্রযোজনীয় খাদ্যদ্রব্য ।
পবিত্র মাহে রমজানের মাস রহমত,মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। মুসলিম উম্মহের সব থেকে
গুরুত্বপূর্ন মাসের তাৎপর্য রক্ষার্থে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের প্রতি রয়েছে প্রশাসনের
বিশেষ নজরদারি।এরপরেও অধিকাংশ দোকান ও ফাষ্টফুডে চলছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি
করা ভেজালকৃত খাদ্রদ্রব্য।সরেজমিনে দেখা যায় যে,উপজেলার লটাখোলা নতুন বাজার
কামারের দোকান সংলগ্ন মায়ের দোয়া বেকারিতে বিএসটিআই’র অনুমোদন ও ট্রেড
লাইসেন্স ছাড়াই চলছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রুটি,কেক, বিস্কুট,সেমাই তৈরির
কাজ।গত শনিবার মায়ের দোয়া বেকারি পরিদর্শনকালে প্রতিবেদকের ক্যামারায় ধরা পড়েন
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রুটি ,কেক, ডেনিজ,সেমাই বানানোর দৃশ্য।মেয়াদ উত্তীর্ণ
পাউডার, রাসায়নিক ও ক্যামিকেল জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করছেন খাবার তৈরিতে।যার মান
দেহের জন্য চরম হুমকি বয়ে আনছে। এসব ভেজাল খাবার খেলে মানব দেহে বিভিন্ন রোগ
বাসা বাধবে অচিরেই। গতবছরও মায়ের দোয়া বেকারির কাগজপত্র অনুমোদন না থাকায়
তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দোহার উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কে এম
আলামীন এর আদালতে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করেন।এ বছর ২২ রমজান শেষ হলেও
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেজাল খাদ্র বন্ধে কোন প্রকার উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। যার ফলে
অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মোনাফার লোভে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নোংরা খাবার তৈরী করে
তাদের ইচ্ছে মতো ব্যবসায় করে যাচ্ছে।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
ডা.মো.জসিম উদ্দিন বলেন,এসব ভেজাল খাবার খেলে বদহযম,গ্যাসট্রিক,গ্যাসফ্রমসহ ও
হার্ট বন্ধ হওয়ার ঝুকি রয়েছে ।
এ বিষয়ে মায়ের দোয়া বেকারি মালিক জামালের কাছে ট্রেড লাইসেন্স ও
বিএসটিআইয়ের অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান,আমি বেকারি
কাগজ করতে দিয়েছি কিন্তু এখনো হাতে পাইনি।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা সহকারি ভূমি (কমিশনার) সালমা খাতুন জানান, অচিরেই
অবৈধ বেকারিগুলোকে আইনের আওতায় আনা হবে ।
দোহার,ঢাকা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment